Ads Area

News

দারূন খবরঃ বাংলা ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে এডসেন্স দিবে গুগল----

বেশ কিছুদিন থেকেই বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে গুগল। বাংলা ভাষার জন্য বেশ কয়েকটি সেবা চালুর ঘোষণা এসেছে সম্প্রতি। গতকাল মঙ্গলবার এক অফিশিয়াল ব্লগ পোস্টে গুগল কর্তৃপক্ষ বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটে গুগল অ‍্যাডসেন্স ব্যবহারের সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
‘অ্যাডসেন্স নাউ আন্ডারস্ট্যান্ড বেঙ্গলি (বাংলা) শীর্ষক ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনলাইনে বাংলা ভাষার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইনে বাংলা ভাষায় রয়েছে নানা ওয়েবসাইট। তাই সবগুলো বিষয় বিবেচনা করে বাংলায় গুগল অ্যাডসেন্স চালু করা হয়েছে।
মূলত অ‍্যাডসেন্স হল—গুগলের লভ্যাংশ-অংশীদারী বিজ্ঞাপন প্রকল্প। যার মাধ‍্যমে একটি ওয়েবসাইটের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
বিস্তারিত জানার লিংক https://adsense.googleblog.com/
উল্লেখ‍্য বর্তমানে বিশ্বের প্রায় দেড় কোটি ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০১৫ সালেই প্রতিষ্ঠানটি গুগল অ্যাডসেন্স প্রকাশকদের প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার পেমেন্ট দিয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে।
বাংলা অ্যাডসেন্স চালুর আগে গত ১৪ আগস্ট গুগল নতুন ৩০টি ভাষা যোগ করেছে স্পিচ-টু-টেক্সটে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলা ভাষাও। এতে গুগলের এ সুবিধাটি ব্যবহার করে বাংলায় উচ্চারণ করে টাইপ করা যায়। পাশাপাশি উচ্চারণ করেও গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কোনো কিছু কিছু খোঁজা যায়। গুগল এটিকে বলছে টাইপ কম, কথা বেশি।
ব্লগ পোস্টটিতে বলা হয়, এসব ভাষা যুক্ত করতে স্থানীয় ভাষাভাষীদের কথার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর পুরো প্রক্রিয়াটি মানে শব্দ শুনে তা টাইপ বা খোঁজার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় মেশিন লার্নিং পদ্ধতিতে। গুগল তাদের মেশিন লার্নিং পদ্ধতিকে আরও উন্নত করেছে।
বাংলার পাশাপাশি নতুন যোগ করা ভাষার মধ্যে উর্দু, নেপালি, তেলেগু, মারাঠি, তামিলসহ বিভিন্ন প্রাচীন ভাষা রয়েছে। নতুন ৩০টি ভাষা যুক্ত হওয়ায় গুগলের ভয়েস সার্চ সুবিধাটি বিশ্বের মোট ১১৯টি ভাষাভাষীর মানুষ ব‍্যবহার করতে পারবেন। তথ্যসূত্র: গুগল।


ব্লগিংয়ে ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম ৫ কারন…যা সবার জানা দরকার---

অনেক আশা ও উত্তেজনা নিয়ে শুরু করেছেন ব্লগিং। অন্যরা এ কাজ থেকে অনেক আয় করছে সে অনুপ্রেরণায় আপনিও নাম লিখিয়েছেন ব্লগার হিসেবে। প্রথম দিকে নবীন এসব ব্লগার যতটা উদ্যোমী থাকেন পরে নানা কারণে তাতে ভাটা পড়ে।
নবীনরা যখন ব্লগিং সাইট খোলার সিদ্বান্ত নেয়, তখন নানা রকম জড়তা তাদের আকড়ে ধরে। যার কারণে তারা সফল হতে পারে না কিংবা অনেকে এ কাজে ইস্তফা দেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্লগই শুরুর চার মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে যায়।
বিশ্বে প্রতিদিন ১ লাখ ৭২ হাজারের বেশি ব্লগ সাইট খোলা হয়। তাহলে এত ব্লগ ঝরে পড়ে কেন- তার কিছু কারণ নিয়ে আজকের পোস্ট।

কঠোর পরিশ্রম করার ভয়
ব্লগিং করাটা প্রচুর পরিশ্রমের কাজ। এখানে ভালো কিছু করতে হলে আপনাকে অবিশ্বাস্যভাবে পরিশ্রম করতে হবে। প্রথমে অনেক সময় ব্যয় হবে কনটেন্ট তৈরি ও প্রমোশনের কাজে।
আপনি যদি ব্লগটাকে একটা ভাল পর্যায়ে দাঁড় করাতে চান তাহলে এসইও নিয়ে কাজ করতে হবে। অন্যান্য ব্লগারদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে ও অবশ্যই ভালো পোষ্ট লিখতে হবে। প্রথমে যখন অনেকে ব্লগিং শুরু করেন, তখন তারা ভাবেন যে এটা ডালভাতের মতো ব্যাপার। তবে কিছু সময় যাওয়ার পর রেসপন্স কমে গেলে তারা বোঝেন বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। তখন অনেকেই ভয় পেয়ে তা ছেড়ে দেয়।
যারা কম পরিশ্রমে বেশি ফল আশা করেন তারা সাধারণত সহজ ও ফানি কাজ খুঁজে থাকেন। তবে সফল ব্যক্তিরা হন এর উল্টো। তারা চ্যালেঞ্জিং কাজ খোঁজেন, নিয়ম মেনে যথাসময়ে তাদের কাজ শেষ করেন এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের কাক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছেন।
ব্লগিংয়ের জন্য কিছু সংখ্যক ভালো আইডিয়া জেনেরেটের মাধ্যমে আপনি সবসময় ফোকাসড থাকতে পারেন। মাঝেমধ্যে অন্যান্য স্থানীয় ব্লগারদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। তাদের নিয়ে একটি মাস্টারমাইন্ড গ্রুপ তৈরি করতে পারেন।  সমমনা ব্যক্তিদের সাথে বেষ্টিত থাকাটা আপনার অনেক কাজে আসবে।
আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্লগের সফলতার প্রতি কমিটেড হতে হবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণের মাধ্যমে আপানার কাজ শেষ করতে হবে। নিয়ম মেনে এ কাজগুলো করতে থাকলে ব্লগিংকে খুব বেশি কঠিন মনে হবে না। আর সাফল্য ধরা দিতে থাকলে তখন এতটুকু পরিশ্রমকে কিছুই মনে হবে না, কেননা দীর্ঘমেয়াদীতে ব্লগিং অনেক ভালো কিছু দিয়ে থাকে।
তীব্র প্রতিযোগিতার ভয়
অনেকে ব্লগিংয়ের শুরুতে চিন্তা করেন, তারা যা লিখছেন পাঠক সহজেই তা খুঁজে পেয়ে যাবেন । কিছু দিন পরেই অবশ্য তাদের এ ভুল ভেঙ্গে যায়। তারা বোঝেন তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে পাঠক তাদের সহজেই খুঁজে পান না।
প্রতিযোগিতার মধ্যে খেই হারিয়ে নবীন ব্লগাররা ভয় পেয়ে যান এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ছেড়ে দেন। এদের অনেকের জানা নেই বর্তমানে যারা প্রভাবশালী ব্লগার এদের অনেকেই বছরের পর বছর সময় ব্যয় করেছেন শুধু বিশাল আকারের পাঠক শ্রেণী তৈরির পেছনে। সে সময়টা নবীনদের কাছে রীতিমত ভীতিকর কিছু হতে পারে।
নবীনদের মধ্যে এমন ভাবনা তৈরি হতে হবে তারাও প্রতিযোগিতায় ভালো করতে পারবেন। বর্তমানে যেসব কনটেন্ট আছে ও প্রমোশন কৌশল রয়েছে সেগুলোর চেয়ে তিনি ভালো কিছু করতে পারবেন।
সফল ব্লগাররা জানেন তার যথেষ্ট ভালো মান আছে পাঠকদের নতুন কিছু দেওয়ার মতো। যতই প্রতিযোগিতা থাকুক না কেন, তারা ঠিকই পাঠক তৈরি করার কৌশল বের করে নেন।
ব্লগে সেল করার ভয়
অনেক ব্লগারই মনে করেন আর্টকেলের সঙ্গে কিছু বিজ্ঞাপন ও অ্যাফিলিয়েট লিংক দিলে তিনি অর্থ উপার্জন  করতে পারবেন। এ প্রক্রিয়া যখন কাজ করে, তখন এটা প্রচুর ট্রাফিক নিয়ে আসে।
তাই আপনিও পণ্য, সেবা বা  নিজস্ব কোর্স বিক্রি করতে পারেন পাঠকদের কাছে। তখন আপনার অডিয়েন্স অনেক কম থাকলেও এটি আপনার ব্লগকে মনেটাইজ করার একটি কার্যকর উপায়।
আপনার মধ্যে সৃষ্টিশীল মানসিকতা তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে বিনামূল্যে অনেক তথ্য দেওয়ার মত চিন্তা থাকতে হবে। তথ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করার আইডিয়াটা আপানার কাছে ‘অস্বাভাবিক’ মনে হতে পারে।
তবে তথ্য বিক্রি করার দক্ষতা ব্লগিং থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এ দক্ষতা আপনাকে শিখতে হবে। আর হ্যাঁ, আপনাকে বুঝতে হবে, কোন তথ্য পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং তারা কখনও কখনও তা কিনতে চাইতে পারে।
পরিবর্তনের ভয়
কিছু মানুষ আছে যারা পরিবর্তনকে ভয় পায়। একজন সফল ব্লগার হতে হলে আপনাকে পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ঘন ঘন পরিকল্পনা ও কনটেন্ট বদল করতে হলে অনেকে ভেবে থাকেন লেখার মান ঠিক রাখা যাবে না। পাঠকদের খুশি রাখতে পারবেন না বলেও অনেকের মধ্যে আশংকা থাকে।
এ ক্ষেত্রে একজন সফল ব্লগার হতে আপনাকে অবশ্যই আপনার মূল বৈশিষ্ট্য ঠিক রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, অতীতে যেভাবে আপনি খাপ খাইয়ে নিয়েছেন ভবিষ্যতেও সেভাবে করবেন।
ব্যর্থ হওয়ার ভয়
যখন কেউ ব্লগিং শুরু করে, তখন তার সবচেয়ে বেশি ভয় থাকে ব্যর্থ হওয়ার। খুবই প্রচলিত একটি প্রবাদ আছে, ব্যর্থতাই সফলতার চাবিকাঠি। তাই ব্যর্থ হওয়ার ভয় পাবেন না। কারণ ব্যর্থতাও ক্ষণস্থায়ী।
বারবার চেষ্টার পর দেখবেন আপনার ব্যর্থতা থেকেই দারুণ কিছু তৈরি হয়েছে। ওই অভিজ্ঞতা আপনাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।

ফেসবুক সম্পর্কে কিছু এক্সক্লুসিভ তথ্য যা জানলে হয়তো মনের অজান্তেই শিউরে উঠবেন...!!!

————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—
সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল নিয়ে আমার আজকের টিউন। সামাজিক যোগাযোগের সর্বশ্রেষ্ঠ প্লাটফর্ম ফেসবুক বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ৪ ফেব্রুয়ারী ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও মুলত ২০০৬ সালের পর থেকে ফেসবুক এক বিশাল কমিউনিটির রূপ নেয়।

ফেসবুককে আমার কাছে ছোটবেলায় খেলা নোকিয়া ফোনের স্ন্যাক গেইমটার মতো মনে হয়। কারন এটি একের পর এক মানুষদের সংযুক্ত করছে আর আকারে বড় হচ্ছে। বর্তমান সময়ে এটা এমন এক অবস্থায় দাড়িয়েছে যে, কারও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না থাকলে তাকে এলিয়েনদের কাতারে ফেলা হয়। কারন হিসাবে একটি উদাহরণ দিচ্ছি, কিছুদিন আগে ফেসবুকে দেখলাম এক ভাইয়া তার নবজাতকের জন্য একটি আইডি খুলে ফেলেছে। তার সন্তান যখন বড় হবে তখন নাকি সে এই আইডি ব্যবহার করবে। এই বিষয়টা থেকে আপনারা হয়তো বুঝে গেছেন যে ফেসবুক আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা ঘটনার সাথে কীভাবে জড়িয়ে গেছে। তবে প্রচার প্রসার এবং ব্যবহারে এগিয়ে থাকার কারনে স্বভাবতই কিছু প্রশ্ন সৃষ্টি হয়, সেটা হলো এটা আমাদের জীবনের জন্য কতোটা উপকারী? সাম্প্রতিক গবেষণায় যে উত্তরগুলো বের হয়ে আসছে আজ সেগুলো নিয়েই আমার সব আয়োজন।

ফেসবুক উচ্চমাত্রার আসক্তি সৃষ্টিকারী সামাজিক সাইট

এই টিউনটি যারা পড়ছেন তাদের মাঝেও অনেকেই ফেসবুকের চরম মাত্রায় আসক্ত রয়েছেন। আর যে কোন কিছুর প্রতি অতিরিক্ত মাত্রায় আসক্তি থাকাটা একটি সামাজিক ব্যাধি হিসাবে ধরা হয়। এবং এই আসক্তির মাত্রা খুব বেশি হলে যেকোন ধরনের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। আপনি ফেসবুকের প্রতি আসক্ত কিনা সেটা প্রমাণ করার জন্য কয়েকটি প্যারামিটার রয়েছে। আপনি নিজে মিলিয়ে নিন আপনার সাথে কোনগুলো মিলে যায়। তবে সেগুলো আপনার সাথে মিলে যাবে সেগুলো টিউমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না যেন।

ফেসবুক আসক্তির প্যারামিটার-

  • ফেসবুকে ছাড়া আপনি এক মূহুর্ত চলতে পারেন না। যেকোন ঘটনা ফেসবুকে শেয়ার করতে মন চায়।
  • দিনে একাধিকবার ছবি কিংবা স্ট্যাটাস আপডেট করেন।
  • কোন স্ট্যাটাস আপডেট করার পর মিনিটে মিনিটে নোটিফিকেশন চেক করা।
  • স্ট্যাটাসে লাইক কিংবা টিউমেন্টের জন্য মরিয়া হয়ে থাকেন। অটোলাইক অটো টিউমেন্টের পেছনে সময় শ্রম ব্যয় করেন।
  • আপনার এক বা একাধিকবার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে এবং এসময় আপনি নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। যদিও এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত। কারন যারা ফেসবুক নিয়ে বেশি টেনশন করে তাদের অ্যাকাউন্ট বেশি পরিমাণে হ্যাক হয়।
  • উপরের প্যারামিটারগুলো দেখার পরে যদি আপনার মেজাজ খারাপ হয় তাহলেও আপনি ফেসবুকের প্রতি চরম মাত্রায় আসক্ত। কারন সত্য কথা সব সময় নাকি তিতা লাগে।
  • এই লক্ষণগুলো যদি আপনার মাঝে থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব শীঘ্রই মানুষিক এবং সামাজিক বিপর্যয়ের মাঝে পড়ে যাবেন। সুতরাং ফেসবুক থেকে সাময়িক দুরত্ব বজায় রেখে আসক্তি কমানোই শ্রেয়।

ফেসবুক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আপনার চিন্তাশক্তি নিয়ন্ত্রন করে

সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ৭ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর উপর গবেষণায় দেখা গেছে যদি তাদের টাইমলাইনে ইতিবাচক কোন বিষয় থাকে তাহলে তাদের চিন্তাভাবনাও ইতিবাচক হয়। অন্যদিকে নেতিবাচক বিষয়গুলোও তাদের চিন্তাভাবনাগুলো নেতিবাচক করে দেয়। তবে গবেষণার ফলাফল যায় আসুক সেটা কিন্তু বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। আসল কথা হলো ফেসবুক চাইলেই আমাদের চিন্তাশক্তি তাদের নিজেদের মতো করে তৈরী করতে পারছে। আমরা বিভিন্ন পেইজ, অন্যদের টাইমলাইন ইত্যাদি দ্বারা ডাইভার্ট হয়ে যাচ্ছি। আমাদের চিন্তার জগত ফেসবুকের সাথে মিলে যাচ্ছে। ফেসবুকের যেকোন বিষয়কে আমরা আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে মিলিয়ে ফেলছি। ফলে অনেক মিথ্যা সংবাদ এবং তথ্য নিয়ে আমরা বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছি। এবং সেই আমাদের চিন্তার জগতকে পরিবর্তন করে ফেলছি। ইন্টারনেট ডট অর্গের বিরুদ্ধে প্রচারণাগুলোও কিন্তু একই কারনে হয়েছে। কারন এক্ষেত্রে আমরা কোন কোন কন্টেন্ট দেখবো সেটা আগে থেকেই নির্ধারণ করা। অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার আমাদের নিজেদের রিমোট কন্ট্রোলিং সিস্টেম তৈরী করে। কারন চিন্তার স্বাধীনতা না থাকলে ব্যক্তির স্বাধীনতা মূল্যহীন।

ফেসবুক হলো নতুন খেলার মাঠ

ফেসবুক বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে এমন এক জায়গায় দাড় করিয়েছে যে, ফেসবুকের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আমরা বাস্তবতাকে অনুধাবন করতে শুরু করেছি। আগে বিকাল হলে আমরা দলবেধে খেলতে যেতাম। ঘুরাঘুরি আড্ডা সব কিছুই হতো। কোন বন্ধুর কাছে প্রয়োজন হলে তার বাসায় গিয়ে একবার ঘুরে আশাকরি। যেমন, বিকাল বেলা শুয়ে শুয়ে আপনি হয়তো গেইম খেলছেন। এমন সময় আম্মু এসে বললো যে, এখনো শুয়ে শুয়ে কী করছো? যাও বায়রে গিয়ে খেলো। আপনি বাধ্য ছেলের মতো মোবাইল বা ল্যাপটপটা বায়রে এনে গেইম খেলা শুরু করলেন! কিন্তু ভেবে বলেন তো আম্মু কি আসলে এটাই করতে বলছিলো? অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, ফেসবুকে গেইম খেললে সমস্যা কী? পরিমিত মাত্রায় গেইম খেললে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু অনলাইনে গেইম খেললে প্রতিযোগিটা একটু অন্য রকম থাকে। সব সময় নতুন স্কোর করার চিন্তা আমাদের আচ্ছন্ন করে রাখে। ফলে ক্লাসরুম, রিডিংরুম এমনকি মসজিদ মন্দিরে ইবাদত করতে গিয়েও পোলাপাইনদের গেইম খেলতে দেখা যায়।

ফেসবুক মনে করিয়ে দেয় আমাদের কি নেই!

ফেসবুকে অনেক সময় দেখা যায়, আপনি কি সিঙ্গেল? তাহলে আপনার নিউজ ফীডে দারুন সব রিলেশনশীপ তথ্য জানতে পারবেন অমুক পেইজ থেকে। আসলে ফেসবুক সবার জন্য এক উন্মুক্ত জায়গা। এখানে প্রত্যেকটি স্টেইজের মানুষের সমাগম রয়েছে। আপনি নিউজ ফীডে দেখলেন চমৎকার সব হ্যাপি কাপলদের ছবি অথবা তাদের বিষয়ে মজার সব তথ্য। অথবা দেখে ফেললেন প্রেম করার উপকারীতা বিষয়ে কিছু ট্পিস। আপনার মনের ভেতরে তখন সহজাত প্রবৃতির কারনে আপনা আপনি একটা হাহাকার কাজ করবে। আপনি হয়তো খেয়াল করে দেখেন অনেকেই ফেসবুকে হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস আপডেট করে। এগুলো শুধুমাত্র আমাদের আবেগের বেহুদা প্রকাশ। এগুলো দ্বারা সামাজিক ভাবে কোন উপকার না হলেও মানুষিক দিক থেকে ঠিকই আমরা আমাদের অভাবটুকু বুঝতে পারি।

ফেসবুকই অনেকের কাছে ইন্টারনেট

আজকাল ইন্টারনেট বলতে অনেকেই ফেসবুকের বায়রে চিন্তা করতে পারেনা। বন্ধু বান্ধব অনেকেই গল্প করে বলে, আমি সারাদিন ইন্টারনেটে থাকি। আসলে দেখবেন তারা সারাদিন ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকে। ফেসবুকে অতি মাত্রায় আসক্তির কারনে ইন্টারনেট এর সঠিক ব্যবহার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। ফেসবুকের অন্য একটি ব্যাপার হলো ফেসবুকে অ্যানোনিমাস ব্রাউজিং সাপোর্ট করেনা। ফলে আমরা যে কারো ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করার সুযোগ পাচ্ছি। ফলে ইন্টারনেটে সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি অসামাজিক কাজেও জড়িয়ে পড়ছি।

ফেসবুক আমাদের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে

ফেসবুক বিষয়ে সবচেয়ে বড় কথা হলো ফেসবুক আপনার মোড কে পরিবর্তন করতে পারেনা। শুধু সেটার তীব্রতা বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনি যদি কখনো মন খারাপ নিয়ে ফেসবুকে বসেন তাহলে দেখবেন বিভিন্ন জনের মন খারাপ করা স্ট্যাটাসগুলো আপনার মন আরও খারাপ করে দিচ্ছে। তাছাড়া আমাদের অনেকের মাঝে মানুষিকতার সাদৃশ্য থাকার কারনে কখনো কারও মন খারাপ স্ট্যাটাস আমাদের মনকে আরও খারাপ করে দিচ্ছে। ফেসবুকে বানানো কোন ঘটনা যদি আপনার জীবনের সাথে আংশিক মিলে যায় তাহলে সেই ঘটনার শেষটুকুর সাথে নিজেকে মিলাতে শুরু করেন। আজকাল মানুষের মাঝে হতাশা, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস এবং কর্মের দৃঢ়তার যে ঘাটতি দেখা যায় তার মূল কিন্তু অনেকাংশ ফেসবুক। আপনি ফেসবুকে লগিন থাকা অবস্থায় কোন কাজ করলে দেখবেন সময় এবং শ্রম প্রায় ৩গুন বেশি লাগে। আর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো লগআউট অপশনে ক্লিক করা।
আজকের এই টিউনটার মূল উদ্দেশ্য কিন্তু আপনাদের ফেসবুক ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখা না। বরং ফেসবুক ব্যবহারে আরও একটু সতর্ক করা। জীবনের প্রয়োজনে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করি। কিন্তু সেই প্রযুক্তির কারনে আমাদের জীবন যাত্রা বাধাগ্রস্থ হলে সেটা সত্যিই হতাশার। আশা করবো সামনের দিনগুলোতে আপনারা ফেসবুকের স্বল্প ব্যবহার করবেন। কারন, প্রত্যেক জিনিসই ততোক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকে যতোক্ষণ পর্যন্ত না সেটার অতিরিক্ত ব্যবহার না করা হয়। তবে শেষ করার আগে একটা মজার জিনিস বলি, আপনারা গুগলে Facebook Addiction লিখে ইমেজ সার্চ করে একবার দেখতে পারেন। এত্তো মজার সব ছবি আসে যে, সেগুলো দেখে হাসতে হাসতে আমি অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম। আপনাদের জন্য সেখান থেকে কয়েকটি তুলে দিলাম। এতোগুলো তিক্ত কথার মাঝে কিছুটা আনন্দ দেওয়ার এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই জানাবেন।
  • যখন আমরা পড়তে বসি তখন ফেসবুক যে ভুমিকা পালন করে!
  • গোপন কিংবা প্রকাশ্য যেকোন কিছু যারা ফেসবুকে শেয়ার করে থাকতে পারে না।
  • জীবনের সব আনন্দময় মূহুর্ত যাদের ফেইসবুক ঘিরে আবর্তিত হয়!
  • ঘটনার গুরুত্বের চাইতে যখন ফেইসবুকে শেয়ার করাটা বেশি প্রাধান্য পায়!
  • ফেইসবুক আসক্তরা যদি কোনদিন ফেইসবুক ছেড়ে বাস্তব জগতে চলে আসে.
  • আমরা প্রতিদিন কিছু ফেইসবুক পাগল দ্বারা যে ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হই।
  • বাংলা ডায়লগগুলো ঘটনা অনুসারে সংযোজন করলাম। জানিনা কেমন হয়েছে, তবে টিউনের কন্টেন্টগুলো নিজের প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকবেন।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

Post a Comment

3 Comments